সারসংক্ষেপ
কেন আমরা আছি? এই প্রশ্নের উত্তর জানা আপনার জীবনকে সত্যিকার অর্থে মূল্যবান এবং অর্থবহ করে তুলতে পারে ।
এটা বিস্ময়কর যে আপনি বিদ্যমান! আমি আশা করি আপনি এই বিষয়ে সচেতন। আমি আরোও আশা করি যে, আপনি জানেন কেন আপনি মূল্যবান । আপনি যদি এ সম্পর্কে আরও জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।
এই ওয়েবসাইটের মূল গল্পে, আমি আপনাকে আবিষ্কারের সেই যাত্রায় নিয়ে যাবো যেখানে আপনি আপনার জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে পারেন। এই পৃষ্ঠায়, আপনি সারাংশ পড়তে পারেন।
অধ্যায় ১ ~ কেন আপনার জীবন গুরুত্বপূর্ণ
আপনি প্রকৃতির দিকে তাকালে দেখতে পাবেন সবকিছুই সুন্দর এবং খুব পরিপাটিভাবে সাজানো। বিভিন্ন রঙ, আকার, গন্ধ এবং শব্দ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি কি জানেন যে পৃথিবীতে কয়েক হাজার বিভিন্ন ধরণের ফুল রয়েছে?
আমাদের শরীর একটি জীবন্ত অলৌকিক বিষয়। এটি কোটি কোটি ছোট কোষ দিয়ে তৈরি। প্রতিটি কোষে DNA নামে অবিশ্বাস্য পরিমাণে তথ্য থাকে। আপনি যদি এই সমস্ত তথ্য এক ঘরে লিখতে চান তবে আপনার ২৫০০ টিরও বেশি বই লাগবে। প্রকৃতির সবকিছুই অত্যন্ত বাস্তবধর্মী। অনেক জীব এবং প্রক্রিয়া একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারে না। আপনি চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন যে, হঠাৎ করে একা একা এই সব কিছু গুছানো সম্ভব না।
অধ্যায় ২ ~ কোন দুর্ঘটনা নয়?
আমাদের গ্রহ, গাছপালা, প্রাণী এবং মানুষ আশ্চর্যজনকভাবে তৈরী হয়েছে। আমরা অধ্যায় ১ এ শিখেছি যে এটি কাকতালীয়ভাবে ঘটতে পারে না। এর জন্য একটি নকশা থাকতে হবে; ডিজাইনার ছাড়া একটি নকশা হয় না। আমরা এই ডিজাইনারকে আমাদের স্রষ্টা বলি।
যদি একজন সৃষ্টিকর্তা থাকে, আপনি কি তাঁর সম্পর্কে আরও জানতে চান? আপনি কি জানতে চান তিনি আপনাকে কেন সৃষ্টি করেছেন? আমরা কি তাঁর সম্পর্কে সত্য আবিষ্কার করতে পারি? একটি চ্যালেঞ্জ আছে: আমরা তাকে দেখতে পারি না। তাহলে কিভাবে আমরা তাঁর সম্পর্কে আরও জানতে পারি? তাছাড়া, বেছে নেওয়ার জন্য হাজার হাজার ধর্ম রয়েছে। এই সবগুলো ধর্মের সৃষ্টিকর্তা ভিন্ন ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
সত্যের সন্ধান করুন
আমাদের স্রষ্টার সঠিক চিত্রটি আবিষ্কার করতে, আপনাকে সত্যের সন্ধান করতে হবে। সৃষ্টিকর্তা নিজেকে দৈহিকভাবে প্রকাশ করেন না। তবুও তিনি আমাদেরকে কি উদ্দেশ্যে তৈরি করেছেন তা খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার উদ্দেশ্য না জানেন তবে সম্ভবত আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবেন!
অধ্যায় ৩ ~ জীবনের ডিজাইনার
আমরা যে সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে পাই না তার পিছনে কোন উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি সকল বস্তুর স্রষ্টা। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তা পর্যবেক্ষণ করে আমরা তাঁর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করতে পারি। সর্বোপরি, একটি নকশা প্রকাশ করে যে, ডিজাইনার যা খুঁজে পান তা সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম বৈশিষ্ট্যটি আপনি লক্ষ্য করতে পারেন যে স্রষ্টা অত্যন্ত সৃজনশীল। তিনি সৃষ্টি করেছেন মহাবিশ্ব, পৃথিবী, প্রকৃতি এবং এর মধ্যে থাকা সবকিছুই। সৃষ্টি করেছেন বিশাল বিস্তারিত ও আশ্চর্য বৈচিত্র্যের সাথে। উদাহরণস্বরূপ, প্রায় ৪০০,০০০ বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। প্রতিটির নিজস্ব রঙ, আকৃতি এবং গন্ধ রয়েছে। আমরা মানুষেরা, ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিস্ময়কর পথে হাটছি। বিজ্ঞানীরা বহু শতাব্দী ধরে আমাদের দেহ নিয়ে গবেষণা করেছেন। সবকিছু কিভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য এখনও অনেক দূর যেতে হবে।
আপনি যদি প্রকৃতির নিয়ম সম্পর্কে কিছুটাও জানেন, তবে আপনি বুঝতে পারবেন যে স্রষ্টা কারণ এবং প্রভাবেরও একজন ডিজাইনার। প্রকৃতির নিয়ম সবসময় একইভাবে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আপনাকে সর্বদা নিচে টানে। অতএব, আপনি ধরে নিতে পারেন যে আমাদের সৃষ্টিকর্তা নির্ভরযোগ্য । তিনি না থাকলে তাঁর সৃষ্টি বিশৃঙ্খলায় পরিণত হতো।
আমরা এটাও লক্ষ্য করতে পারি যে সঠিক এবং ভুলের একটি ভিত্তি আছে। এই নিয়মগুলো মানুষেরা নিজে নিজে তৈরী করেনি। মানুষ যদি নিয়ম তৈরী করত, তাহলে ভালো-মন্দের অনেক সংস্করণ থাকত। অতএব, আমাদের নৈতিকতার ভিত্তি অবশ্যই আমাদের সৃষ্টিকর্তা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
মানুষের বিশেষ ক্ষমতা আছে যা প্রকৃতির অন্যান্য প্রাণীর নেই। আমরা আমাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে চিন্তা করতে পারি। আমরা সম্পর্ককে গুরুত্ব দিই এবং অন্যদের ভালবাসতে পারি। তাই সৃষ্টিকর্তাকে হতে হবে ভালোবাসা ও সম্পর্কের উৎস। যেন, আমরা আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবতে পারি এবং আমাদের অস্তিত্বের উদ্দেশ্যও বুঝতে হবে। কোনো না কোনোভাবে, আমরা সবাই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি, এবং যতক্ষণ না আমরা সঠিক উত্তরটি জানি, ততক্ষণ আমরা শূন্য অনুভব করব। আমরা প্রায়শই এই শূন্যতাকে ব্যস্ত, আসক্তি বা যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তি দিয়ে পূরণ করি। আমরা উত্তর খুঁজে বের করার পরিবর্তে এই অনুভূতিকে বিভিন্নভাবে দমন করার চেষ্টা করি।
অধ্যায় ৪ ~ আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি
আপনি ভাবতে পারেন যে স্রষ্টা আর তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করেন না। কারণ, আমরা তাঁকে দেখতে পাই না, এবং পৃথিবীতে অনেক দুঃখ কষ্ট রয়েছে। এই অধ্যায়ে, আমরা আমাদের দায়িত্বের দিকে নজর দেব। মানুষকে ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অতএব, আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে সম্মান করতে পারি এবং প্রশংসা করতে পারি। যাইহোক, আমরা আমাদের পছন্দ মত সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
অনেকেই আছে যারা স্রষ্টার উপস্থিতিকে স্বাগত জানাতে এবং সম্মান করতে পছন্দ করে না, যার কারণে তারা অন্য লোকেদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারে না। এর পরিণতি বেদনাদায়ক এবং ধ্বংসাত্মকও হতে পারে। আশা করি, আপনি একজন খুনি বা নিকৃষ্ট ব্যক্তি নন, তারপরও আপনি যখন ভালো কাজ করে থাকেন, তখন ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে জীবনের কিছু সময়ে কাউকে আঘাত করবেন। প্রতিটি মানুষই তার সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে কোনো না কোনোভাবে বিদ্রোহ করে। আমরা পরে আবিষ্কার করব যে বিদ্রোহের ছোট কাজও বড় পরিণতি হতে পারে।
সৃষ্টিকর্তার কি হস্তক্ষেপ করা উচিত? যদি তাই হয়, তিনি কখন তা করবেন? যখন সৃষ্টিকর্তা প্রতি মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবেন, তখনও কি সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা থাকবে?
এর উত্তর কি ধর্মে পাওয়া যায়?
আমাদের গ্রহে হাজার হাজার ধর্ম রয়েছে। সবাই সত্যের প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করে। কিছু লোক অনুমান করে যে সমস্ত ধর্ম সত্যের বিভিন্ন অংশ দেখায়। যাইহোক, আপনি যদি সমস্ত ধর্মের মধ্যে বিশাল পার্থক্য বিবেচনা করেন তবে এটি অসম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, কেউ এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, অন্যরা লক্ষ লক্ষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করে। আবার, অন্যান্য কিছু ধর্মগুলো ধরে নেয় যে আমরা নিজেরাই দেবতা। এই সব সত্য হলে, একটি সত্য হতে পারে না।
তবুও, আমাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে সত্য আবিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি কারণে। তাই, আমাদের কেন সৃষ্টি করা হয়েছে তার কারণ আবিষ্কার করাও জরুরী । অন্যথায়, আপনি জীবনে আপনার গন্তব্য হারিয়ে ফেলবেন।
অধ্যায় ৬ ~ সত্য আবিষ্কার করুন
এখান থেকে, আমি সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে যে সত্যটি আবিষ্কার করেছি সে সম্পর্কে আপনাকে বলতে চাই। এখন থেকে, আমি তাকে আল্লাহ্ ডাকব কারণ এটিই বিশ্বব্যাপী আমাদের সৃষ্টিকর্তার জন্য সবচেয়ে সাধারণ নাম।
আমি কিতাবুল মোকাদ্দসে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে সত্য আবিষ্কার করেছি। আপনি যদি কিতাবুল মোকাদ্দস নিয়ে আলোচনা করতে না চান তবে আমি বুঝবো যে আপনি এখানে পড়া বন্ধ করতে চান। যাইহোক, আমি আপনাকে পড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমি আশা করি আপনার জীবন এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সত্যিই কিছু সুসংবাদ শেয়ার করতে পারবো।
পথ, সত্য এবং জীবন
আমি আপনাকে সত্য অনুসন্ধান করতে উত্সাহিত করতে চাই। আপনার অনুসন্ধানে আমি আপনাকে একটু সাহায্য করতে চাই। আমি আপনাকে আমাদের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে বলতে চাই, যিনি তাঁর সৃষ্টির সাথে নিবিড় ভাবে জড়িত। এমনকি আপনার প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত মনোযোগ আছে। আপনার জীবনের জন্য তাঁর একটি উদ্দেশ্য আছে।
হয়তো আপনি সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজছেন কিন্তু মনে সন্দেহ আছে তাহলে আপনি তাঁর কাছে সত্য প্রকাশের জন্য মুনাজাত করতে পারেন।
আপনার যদি কিতাবুল মোকাদ্দসের নির্ভরযোগ্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে সন্দেহ থাকে তবে প্রথমে এই প্রবন্ধটি পড়ুন কেন কিতাবুল মোকাদ্দস অন্যান্য সমস্ত বই থেকে আলাদা।
এখান থেকে, আমি আপনাদের সাথে কিতাবুল মোকাদ্দস থেকে চিন্তা করার জন্য কিছু উদ্ধৃতি শেয়ার করতে চাই। আমি আশা করি আপনি আবিষ্কার করবেন যে সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য চিন্তা করেন এবং এমনকি আপনার জন্য তাঁর একটি পরিকল্পনা রয়েছে। আমি জানি, তিনি আপনাকে দেখাবেন যে তিনি আপনার জন্য যত্নশীল এবং আপনি তাঁর কাছে অত্যন্ত মূল্যবান!
আর তোমরা আমার খোঁজ করে আমাকে পাবে; কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার খোঁজ করবে ইয়ারমিয়া 29:13
কিতাবুল মোকাদ্দসে, আপনি আবিষ্কার করতে পারেন যে আল্লাহ্ কতটা মহান এবং শক্তিশালী তা দেখানোর জন্য সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। আরও আছে – তিনি আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে তৈরি করেছেন। অতএব, আমরা তাঁকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিতে পারি। যারা আন্তরিকভাবে তাঁকে খোঁজে তাদের দ্বারা আল্লাহ্ নিজেকে খুঁজে পাওয়ার অনুমতি দেন।
আল্লাহ্ নিজেকে আবিষ্কার করতে দেন
কিন্তু সেখানে থেকে যদি তোমরা তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের খোঁজ কর, তবে তাঁর উদ্দেশ পাবে; সমস্ত অন্তর ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তাঁর খোঁজ করলে পাবে। দ্বিতীয় বিবরণ 4:29
আমি শিখেছি যে আল্লাহ্ সম্পর্কের আল্লাহ্। তিনি একের পর এক সৃষ্টি করা মানুষদের ভালোবাসেন। তিনি যদি আমাদের সৃষ্টিকর্তা হন, তাহলে তিনি আমাদের মনোযোগ ও সম্মানের যোগ্য।
আমরা যখন অন্য মানুষকে এড়িয়ে যাই তখন একই রকম হয়ে থাকে যেন কোন সম্পর্ক নেই। সৃষ্টিকর্তার ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই রকম। আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে আল্লাহ্ আপনার এবং আমার সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। প্রশ্ন হল আপনি তাঁর প্রতি আপনার মনোযোগ দেবেন কিনা।
আমি আশা করি যে, সত্যিই তাঁকে জানার ইচ্ছা আপনার মধ্যে জাগ্রত হয়েছে এবং আপনি আন্তরিকভাবে আপনার সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানতে চান। তিনি আপনার নিজের বিষয়ে সত্য দেখাবেন। এটাই তাঁর প্রতিশ্রুতি!
অধ্যায় ৬ ~ আমাদের সমস্যা
সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা নেই বলে অনেক সমস্যার সম্মুখিন আমাদের হতে হয়। আমরা একজন নির্ভরযোগ্য সৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহ্কে বিশ্বাস করতে পারি। আামদের বাছাই করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে বলে আমরা সেই সমস্ত কাজ প্রায়শই করি যা আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে। আমরা এই বিষয়টিকে গুনাহ্ বলে থাকি। নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত হতে হলে আল্লাহ্কেও ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। তিনি এমনি এমনি আমাদের গুনাহ্ উপেক্ষা বা ক্ষমা করতে পারেন না।
আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আর তা হল আল্লাহ্কে সম্মান করা এবং বিশ্বাস করা। আমরা যখন আল্লাহ্কে উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিই, তখন অবশ্যই তাকে অসম্মান করি। কিন্তু যখন আমরা তাঁকে সম্মান করার জন্য সর্বোত্তম চেষ্টা করি তখনও মাঝে মাঝে এমন কিছু করি যা তাঁকে অসম্মান করে। দয়া করে, আপনার নিজের হৃদয় এবং কাজের দিকে সৎ ভাবে দৃষ্টিপাত করুন। আপনি কাজ কি আপনার সৃষ্টিকর্তাকে সম্মানিত করে? হতে পারে এমন কিছু যা আপনি জানেন কিন্তু অন্যেরা জানে না? আমি নিশ্চিত যে কেউ সততার সাথে বলতে পারবে না যে তিনি সর্বদা আল্লাহ্র ইচ্ছা অনুসারে কাজ করেন।
সকলে বিপথে গেছে, সকলেই একসঙ্গে খারাপ হয়ে গেছে; সৎকর্ম করে এমন কেউই নেই, এক জনও নেই। জবুর শরীফ 14:3 এবং রোমীয় 3:11-12
আপনি যদি একটি সম্পর্কে থাকেন এবং আপনার সঙ্গী আপনাকে প্রতারণা করে, তাহলে আপনার সঙ্গী ১০০ বার আপনার সাথে প্রতারণা না করলেও সম্পর্কটি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্থায়ী ক্ষতি হয়। অনুতাপ এবং ক্ষমা থাকলেই সম্পর্ক পুনরুদ্ধার সম্ভব।
আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করার জন্য আমি আপনাকে এই উদাহরণ দিচ্ছি। মহান ও পবিত্র স্রষ্টার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের বিদ্রোহ তাঁর সম্মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই কারণে, তাঁর এবং আমাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকতে পারে না। আমরা আর তাঁর উপস্থিতিতে আসতে পারি না। প্রথম মানুষ (আদম) থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি মানুষই বিদ্রোহী এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বা দুর্ঘটনাবশত সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করেছে। নিরাময় কেবল তখনই সম্ভব যদি আমরা অনুতপ্ত হই এবং আল্লাহ্ ক্ষমা করতে ইচ্ছুক হোন।
যাইহোক, আল্লাহর ধার্মিকতা বজায় রাখতে, আল্লাহ্ আমাদের গুনাহের কোন ব্যবস্থা না করে ক্ষমা করতে পারেন না। তিনি যদি এমনি এমনি মানুষকে ক্ষমা করতেন, তাহলে অন্যদেরও এর উপর দাবি থাকতো। আল্লাহ্ আর বিশ্বাসযোগ্য থাকতো না।
অধ্যায় ৭ ~ আশা আছে
আল্লাহ্ আমাদের সৃষ্টি করেছেন কারণ তিনি আমাদের ভালোবাসেন। গোলাম হিসেবে সাহায্যকারীর প্রয়োজন ছিল বলে তিনি আমাদের সৃষ্টি করেননি। তিনি নিজেই ভালোবাসা এবং তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসেন। ভালোবাসা তখনই প্রকাশ পায় যখন আপনি তা অন্যদের সাথে শেয়ার করেন। তিনি আমাদের সাথে তাঁর ভালোবাসা শেয়ার করতে চান, এবং তিনি আমাদেরও তাঁকে ভালোবাসার ক্ষমতা দিয়েছেন।
তবুও, আমাদের একটি বড় সমস্যা আছে। আমরা যখন গুনাহ্ করি এবং প্রায়ই তাঁকে উপেক্ষা করি তখন তিনি আমাদের ভালোবাসতে পারেন না। বার বার তাঁর সম্মানহানী হয়। আমাদের কৃতকর্ম বিচারের যোগ্য। আমরা আল্লাহর কাছ থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছি। আমরা অন্ধকারে বাস করছি, এবং মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি।
আমাদের লজ্জাজনক আচরণ সত্ত্বেও, আল্লাহ্ সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান। আমরা নিজেরা এটি করতে সক্ষম নই। আমরা বারবার ভুল করি। তবুও, যদি আমরা আন্তরিকভাবে তাকে খুঁজি এবং আমাদের আচরণ এবং ভুল কাজের জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত হই, তখন তিনি আমাদের সমস্ত গুনাহ্ ক্ষমা করতে চান। তিনি ক্ষমাশীল এবং ন্যায়পরায়ণ হতে একটি মহান পরিকল্পনা চিন্তা করেছেন। আমাদের গুনাহ্পূর্ণ আচরণের জন্য যে শাস্তি রয়েছে তা তিনি গ্রহণ করেছিলেন। ৪ অধ্যায়ে, আমরা আমাদের সমস্যার সমাধান সম্পর্কে আরও শিখবো।
কেননা গুনাহ্র বেতন মৃত্যু; কিন্তু আল্লাহ্র মেহেরবানী-দান আমাদের প্রভু ঈসা মসীহেতে অনন্ত জীবন। রোমীয় 6:23
অধ্যায় 8 ~ সুসংবাদ!
কারণ শরীয়ত মানুষের গুনাহ্-স্বভাবের দরুন দুর্বল হওয়াতে যা করতে পারে নি, আল্লাহ্ নিজে তা করেছেন, নিজের পুত্রকে মানুষের মত গুনাহ্-স্বভাব দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন এবং তাঁর পুত্রকে গুনাহ্-কোরবানী হিসেবে পাঠিয়ে দিয়ে দৈহিকভাবে গুনাহ্র দণ্ডাজ্ঞা করেছেন রোমীয় 8:3
অবশ্যই, আপনি ভাবতে পারেন কিভাবে আল্লাহর একজন পুত্র হতে পারে। আপনি প্রবন্ধটি পড়ে এটি সম্পর্কে আরও শিখতে পারেন, “ আল্লাহর কি একজন পুত্র থাকতে পারে/”Can God have a Son?“? ” আমি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ শেয়ার করতে চাই যে আল্লাহর পুত্র মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমাদের গুনাহের ঋন পরিশোধ করেছেন। আমাদের গুনাহের শাস্তি না দিয়েই যেন আল্লাহ্ আমাদের ক্ষমা করতে পারেন সেই অসম্ভব বিষয়টি তাঁর পুত্র সম্ভব করেছেন। এর মধ্য দিয়ে আল্লাহরসাথেআমাদেরসম্পর্কপুনরুদ্ধার করা যায়!
মহান স্রষ্টা মানুষ হয়েছেন- মহা অপমানের মত শোনাচ্ছে! কিন্তু, এটি তাঁর এবং আমাদের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রেমময় এবং উজ্জ্বল সমাধান।
তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং প্রতিটি মানুষের মতোই একজন মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অন্য সব মানুষের সাথে একটি পার্থক্য ছিল। তাঁর মা মরিয়ম কোন পুরুষ দ্বারা গর্ভধারণ করেননি। আল্লাহর পবিত্র আত্মার শক্তিতে তিনি গর্ভধারণ করেছিলেন। ঐশ্বরিক এবং মানুষের এক অনন্য সমন্বয়। তাঁকে ঈসা (যার অর্থ নাজাতদাতা/মুক্তিদাতা) নাম দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁকে আল্লাহর পুত্র/Son of God বলা হয়েছিল।
ঈসা যখন লোকদের সাথে সুসমাচার জানাতে শুরু করেছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল প্রায় ৩০ বছর । তাঁর জীবনের সময়, তিনি লোকদের দেখিয়েছিলেন যে আল্লাহ্ তাদের ভালোবাসেন। এছাড়াও তিনি অনেক অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করেছিলেন এবং অনেক অলৌকিক কাজ করেছিলেন।
যাইহোক, তিনি কেবল একজন শিক্ষক এবং মানুষের কাছে উদাহরণ ছিলেন না। অনেক বড় পরিকল্পনা ছিলেন। একটি পরিকল্পনা যা বহু শতাব্দী আগে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল।
সেই সময় থেকে যিশু তাঁর বার্তা লোকেদের বলতে শুরু করেছিলেন: “তোমাদের হৃদয় ও জীবন পরিবর্তন কর, কারণ ঈশ্বরের রাজ্য এখন খুব কাছে। ” মথি 4:17
কিন্তু তিনি কেবল একজন শিক্ষকই ছিলেন না, একজন নিরাময়কারী এবং মানুষের জন্য একটি উত্তম উদাহরণ ছিলেন। পৃথিবীতে তাঁর থাকার জন্য আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল। তার আগমন বহু শতাব্দী আগে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল;
সেই সময় থেকে ঈসা তাঁর সাহাবীদেরকে স্পষ্টই বলতে লাগলেন যে, তাঁকে জেরুশালেমে যেতে হবে এবং প্রাচীনদের, প্রধান ইমামদের ও আলেমদের কাছ থেকে অনেক দুঃখ ভোগ করতে হবে ও হত হতে হবে, আর তৃতীয় দিনে উঠতে হবে। মথি 16:21
ধর্মীয় নেতারা তাঁকে তাদের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখেছিলেন। তারা তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিতে চেয়েছিল, কিন্তু শুধুমাত্র একটি অভিযোগ পেয়েছিল যে ঈসা তাঁকে আল্লাহর পুত্র হিসেবে দাবি করেছিলেন। একটি বিশাল জনতার সাহায্যে, তারা ঈসাকে ক্রুশে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করতে সফল হয়েছিল।
ঈসা, আল্লাহর পুত্র, যাকে লজ্জাজনকভাবে একটি ক্রুশে পেরেক দেয়া হয়েছিল। তিনি চাইলে সহজেই এড়িয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি স্বেচ্ছায় এই শাস্তি ভোগ করেছেন। এটা করার মাধ্যমে, তিনি আপনার গুনাহের শাস্তি ভোগ করেছেন। অন্যথায় আমাদের গুনাহের শাস্তি আমাদের পেতে হতো।
স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করে, তিনি তাঁর রক্তের দ্বারা আমাদের গুনাহ্ ও লজ্জাকে ধুয়ে দিয়েছেন এবং আমাদের বিবেককে শুদ্ধ করেছেন। তিনি আপনার এবং আমার জন্য তাঁর জীবন দিয়েছেন!
কারণ আল্লাহ্ দুনিয়াকে এমন মহব্বত করলেন যে, তাঁর এক জাত পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেউ তাঁতে ঈমান আনে সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়। ইউহোন্না 3:16
তিনি যে মৃত্যুর চেয়েও শক্তিশালী তা দেখানোর জন্য তিন দিন পর কবর থেকে উঠে এসেছেন। তিনি আমাদের শাস্তির মূল্য দিয়েছেন এবং আমাদের সমস্ত গুনাহ্ পিছনে ফেলে ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।
মসীহ্ ঈসা তো মৃত্যুবরণ করলেন এবং পুনরুত্থিতও হলেন; আর তিনিই আল্লাহ্র ডান পাশে আছেন এবং আমাদের পক্ষে অনুরোধ করছেন। রোমীয় 8:34
আপনি কি বুঝতে পারেন যে আপনি আপনার সৃষ্টিকর্তাকে অনেকবার অসম্মান করেছেন? আপনি কি সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করতে চান? যদি তাই হয়, ঈসা মসীহের মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের মাধ্যমে তাঁর উদ্ধার গ্রহণ করুন। আল্লাহ্ আপনার গুনাহ্ ক্ষমা করবেন এবং আপনার বিচার করবেন না। আপনি যদি এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন তবে আপনি (আধ্যাত্মিকভাবে) আবার জন্মগ্রহণ করবেন। এমনকি আপনি তাঁর সন্তান হিসাবে “দত্তক” হবেন!
কিন্তু যত লোক তাঁকে গ্রহণ করলো, সেই সকলকে, যারা তাঁর নামে ঈমান আনে তাদেরকে, তিনি আল্লাহ্র সন্তান হবার ক্ষমতা দিলেন। তারা রক্ত থেকে নয়, দেহের কামনা-বাসনা থেকে নয়, মানুষের ইচ্ছা হতেও নয়, কিন্তু আল্লাহ্ থেকে জাত। ইউহোন্না 1:12-13
আপনি যদি এটি গ্রহণ করতে না চান, তাহলে আল্লাহর আপনার প্রতি কি করা উচিত? তাহলে কিভাবে তিনি আপনাকে দেখাবেন যে তিনি আপনাকে ভালোবাসেন?
অধ্যায় ৯ ~ আপনার সিদ্ধান্ত কি হবে?
সিদ্ধান্ত নেয়া এখন আপনার উপর নির্ভর করে। আপনি কি আল্লাহর ভালোবাসার উত্তর দিতে চান? আপনি কি জানেন যে আপনি আপনার সৃষ্টিকর্তাকে উপেক্ষা করতে পারবেন না? এবং আপনি কি বোঝেন যে আপনার আচরণ তাঁকে বারবার অসম্মান করে?
তাঁর প্রেমময় উপহার গ্রহণ করা অবশ্যই একটি সহজ সিদ্ধান্ত নয়। এর মানে হল যে আপনি যেভাবে জীবনযাপন করতেন সেভাবে জীবনযাপন বন্ধ করতে হবে। আপনাকে আপনার জীবনের প্রথম স্থানে আল্লাহ্কে রাখতে হবে। আপনি তাঁর প্রেমময় ক্ষমার জন্য ও কৃতজ্ঞতার জন্য তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে জীবনযাপন শুরু করতে পারেন। তবে আমি আপনাকে বলতে পারি যে আল্লাহ্ ছাড়া যে জীবন আপনি কাটাচ্ছিলেন তার চেয়ে এই জীবন অনেক ভালো হবে। আপনার ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর হবে।
যে তাঁতে ঈমান আনে, তার বিচার করা যায় না; যে ঈমান আনে না, তাঁর বিচার হয়ে গেছে, যেহেতু সে আল্লাহ্র এক জাত পুত্রের নামে ঈমান আনে নি। আর সেই বিচার এই যে, দুনিয়াতে নূর এসেছে এবং মানুষেরা নূর থেকে অন্ধকার বেশি ভালবাসলো, কেননা তাদের কাজগুলো মন্দ ছিল। ইউহোন্না 3:18-19
আপনারসিদ্ধান্তকিহবে?
আপনি কি আপনার নিজের মত করে বাঁচতে চান? আপনি কি আপনার সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করতে চান? এটাও এক ধরণের সিদ্ধান্ত। কিন্তু তা করে আপনি আপনার ভবিষ্যতও নির্ধারণ করবেন। এমন ভবিষ্যত হবে আল্লাহ্ থেকে অনেক দূরে। কিতাবুল মোকাদ্দস এই বিষয়ে খুব স্পষ্ট: আল্লাহর প্রতি আপনার মনোভাবের জন্য এবং আপনি যে সমস্ত লজ্জাজনক কাজ করেছেন তার জন্য আপনাকে এর ফলাফল নিজেকেই গ্রহণ করতে হবে।
আমি আশা করি আপনি একটি নতুন জীবন শুরু করার জন্য আল্লাহর আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন! এমন একটি জীবন যা আপনার চিন্তার চেয়ে অনেক বেশি ফলপ্রসূ এবং অর্থবহ হবে। একটি জীবন যেখানে আপনি আল্লাহর “পরিবারের” অন্তর্গত হবেন। পৃথিবীর জীবন শেষে আপনি আল্লাহর সাথে বেহেশতে বসবাস করতে পারবেন।
আপনি যদি আল্লাহ্কে বিশ্বাস করতে চান এবং তাঁকে আপনার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেন, তাহলে তিনি আপনার যত্ন নেবেন। এর মানে এই নয় যে আপনি আর ভুল করবেন না। এটি আরামদায়ক এবং উদ্বেগ ছাড়াই বেঁচে থাকার গ্যারান্টি নয়। প্রলোভন, অসুস্থতা এবং ব্যথা থাকবে, আর আপনার শরীর একদিন মারা যাবে। কিন্তু আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার ভাগ্য বেহেশতে আল্লাহর সাথে থাকবে। আপনার আত্মার জন্য, আল্লাহর কাছাকাছি একটি অনন্ত ভবিষ্যৎ থাকবে।
আমি আশা করি আল্লাহ্ আপনার জন্য যা করেছেন তা আপনাকে স্পর্শ করেছে। আপনি যে সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হচ্ছেন তা সহজ নয়, বিশেষ করে যখন আপনি এমন একটি দেশে বাস করেন যেখানে অধিকাংশ লোকেরই কাছে সৃষ্টিকর্তার চিত্র আলাদা।
আপনি আপনার বর্তমান জীবন চালিয়ে যেতে পারেন। এটাও একটি সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমি আশা করি আপনি কিছুই না করার সুবিধাজনক পথ বেছে নেবেন না। আপনার যদি এখনও সন্দেহ থাকে, আপনার গবেষণা শুরু করুন এবং যতক্ষণ না আপনি নিশ্চিত হন যে আপনি সত্য খুঁজে পেয়েছেন ততক্ষণ থামবেন না। আপনি আল্লাহকে বলতে পারেন যেন আপনার কাছে সত্য প্রকাশ করেন।
আপনি যদি এই সমস্ত সম্পর্কে কারও সাথে কথা বলতে চান তবে চ্যাট/ CHAT ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনি চান তাহলে আপনার স্ক্রিনের নীচে চ্যাট/ CHAT বাটনটি দেখতে পাবেন। অথবা অন্যান্য অপশনের জন্য “যোগাযোগ”/ Contact এ দেখুন।
আপনি কি আপনার জীবন থেকে ফিরতে এবং আপনার জীবনে আল্লাহ্কে প্রথমে রাখতে প্রস্তুত? আপনার গুনাহ্গাড়, বিদ্রোহী এবং অসম্মানজনক আচরণের জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত? আপনি কি আল্লাহর পুত্র ঈসা মসীহের কোরবানী গ্রহণ করতে এবং একটি নতুন জীবন পেতে ইচ্ছুক? আল্লাহ্ তাঁর দু’হাত খুলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন।
আমি আজ এইসকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আপনাকে উত্সাহিত করতে চাই!
.
.
.