অধ্যায় ৬ ~ আমাদের সমস্যা

আমাদের হৃদয়ের গভীরে আমরা জানি কোনটি সঠিক এবং ভুল। আমরা যে দেশ বা সংস্কৃতিতে বাস করি তার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। সারা বিশ্বে অন্য মানুষকে হত্যা করা অন্যায়। আর, বিশ্বের কোথাও অন্যের সম্পত্তি চুরি করা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয় না।

পশুদের এই নৈতিক মূল্যবোধ নেই। একটি পশু ক্ষুধা বা আক্রমনের কারণে অন্য পশুকে হত্যা করে। পশুরাও একে অপরের সাথে মিথ্যা বলে না।

মানুষ জানে যে কোন বিষয়গুলো সঠিক বা ভুল। সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করি। গুরুতর ক্ষেত্রে, আমরা একজন বিচারকের কাছে যাই। একজন সৎ বিচারক আইনের ভিত্তিতে রায় দিয়ে থাকেন। ভুক্তভোগীর ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে দোষীদের শাস্তি দিয়ে থাকেন।

সবচেয়ে বড় আদালত

স্রষ্টাই ভাল-মন্দ নির্ধারণ করেছেন। আমরা দেখেছি যে আল্লাহ্ নির্ভরযোগ্য কারণ তিনি প্রকৃতির অপরিবর্তনীয় নিয়ম তৈরি করেছেন। তাঁর প্রকৃতির নিয়ম যেমন সত্য, তাঁর নৈতিক আইনও তেমন সত্য। প্রতিটি অবস্থা ও পরিস্থিতিতে এসব বিষয় অপরিবর্তিত থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে তাঁকে বিশ্বাস করা অসম্ভব।

নৈতিক আইন ভঙ্গ হলে, অবশ্যই প্রতিক্রিয়া আসবে। বড় অপরাধের জন্য বিচারককে শাস্তি নির্ধারণ করতে বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ খুন হয় তাহলে পরিবার এবং বন্ধুদের বিচারের দাবি থাকে। হত্যাকারীর শাস্তি হওয়া উচিত। বিচারক যদি খুনিকে শাস্তি না দিয়ে মুক্ত করে দেন তাহলে বন্ধুবান্ধব ও পরিবার তা কখনোই মেনে নেবে না।

আল্লাহ্ নৈতিক আইন তৈরি করেছেন। আমরা যদি সেই আইন ভঙ্গ করি, তাহলে আল্লাহ্কে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ তিনি সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের অধিকারী, আমরা যখন তাঁর আইন ভঙ্গ করি তখন তাঁকে অবশ্যই কাজ করতে হবে। আল্লাহ্ অবশ্যই তাঁকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম।

কিন্তু লোকেরা দিনের পর দিন তাঁর নৈতিক আইন ভঙ্গ করে থাকে। আমরা মাত্র দেখলাম যে অপরাধীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে, অপরাধটি হত্যা হোক বা অন্য কিছু হোক।

কিন্তু দিনের পর দিন মানুষ আল্লাহর নৈতিক আইন ভঙ্গ করছে। লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি পেতে হবে। সেটা খুন হোক বা অন্য কোন অপরাধ হোক। কিন্তু কোন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে আল্লাহ্ কাজ করেন না। পরে আমরা এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো।

blank

আমাদের সৃষ্টিকর্তার প্রতি সম্মান

আল্লাহ্ কি আমাদের প্রতিটি ভুলের জন্য প্রতিক্রিয়া দেখান? এটা সুস্পষ্ট যখন তাঁর সৃষ্টির একজনকে হত্যা করা হয় তিনি তা এড়িয়ে যেতে পারেন না। কিন্তু আল্লাহ্ তো একজন প্রেমময় আল্লাহ্। তিনি কি আমাদের ছোট ছোট ভুলগুলোকে উপেক্ষা বা ক্ষমা করতে পারেননি?

একটি উদাহরণ: আপনি যদি আমার মুখে আঘাত করেন তবে কি হবে? আমি সম্ভবত আপনার সাথে রাগ করবো এবং আপনাকে আঘাত করবো। তাহলেই আমার সম্মান পুনরুদ্ধার করা হবে এবং পরে আমরা আবারো মিলে যেতে পারি। কিন্তু আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে আপনার বসের মুখে আঘাত করেন? আপনাকে সম্ভবত বহিস্কার করা হবে। আর রাজার মুখে মারলে কি হবে? আপনাকে গ্রেফতার করা হবে এবং জেলে সময় কাটাতে হবে।

একই ‘ছোট’ অপরাধের জন্য আলাদা শাস্তি দেওয়া হয় কেন? এটি নির্ভর করে কাকে অপমান করা হচ্ছে।

সৃষ্টিকর্তাকে অপমান করলে তার পরিণতি কল্পনা করার চেষ্টা করুন। আপনি তাকে মুখে আঘাত করতে পারবেন না, তবে আপনি তার নৈতিক নিয়ম ভঙ্গ করে তাঁকে অসন্তুষ্ট করতে পারবেন। আপনার করা প্রতিটি অপরাধ একটি প্রতিক্রিয়া দাবি করে, হোক সেটা ছোট কিংবা বড়। স্রষ্টার সম্মান পুনরুদ্ধার করতে হবে। তিনি তাঁর নিয়ম ভঙ্গ করা উপেক্ষা করতে পারেন না। তাতে তিনি তাঁর সম্মান হারাবে এবং অবিশ্বস্ত হয়ে পড়বে।

আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল আপনি স্রষ্টাকে কতটুকু অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তিনি কি আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি? আপনি কি আপনার জীবনে তাঁর উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে ইচ্ছুক? নাকি আপনি আপনার জীবন যাপন সম্পর্কে নিজেই সিদ্ধান্ত নিবেন? নাকি, আপনি অন্য লোকেদের সিদ্ধান্ত নিতে দিবেন যে কোন বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

আল্লাহ্কে উপেক্ষা করার মাধ্যমে আপনি তাকে অপমান করেন এবং দুঃখ দেন। ঠিক একজন শিশুর মত যে ভান করে তার বাবা বা মার অস্তিত্ব নেই এবং যা খুশি তাই করে।

কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন?

সৎ ভাবে এক মুহুর্তের জন্য নিজেকে দেখুন। সৃষ্টিকর্তা কি আপনাকে নিয়ে গর্ব করতে পারেন? আপনি কি তাঁর উপস্থিতি সম্পর্কে সচেতন এবং তাঁকে সম্মান করেন? নাকি, আপনি আপনার জীবনের কিছু অংশ তাঁর কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছেন? কিভাবে আপনি আপনার সৃষ্টিকর্তার জন্য আপনার উপলব্ধি দেখিয়ে থাকেন? আপনি কি জানতে চান কেন তিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন? আপনি কি আপনার জীবনে তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চান?

আল্লাহ্ আপনার আন্তরিক মনোযোগ চান। এর মানে এই নয় যে আপনি নিয়ম বা চুক্তির তালিকা অনুসারে চলবেন। তিনি আপনার মনোযোগ চান, সরাসরি হৃদয় থেকে।

সৎ ভাবে নিজের প্রতি দৃষ্টি দিন। আপনি কি আল্লাহর প্রতি মনোযোগ এবং সম্মান দেন, আপনার সৃষ্টিকর্তা হিসাবে যা তাঁর প্রাপ্য? আল্লাহ্ কি আপনার সবকিছু জানেন? নাকি আপনার জীবনে এমন কিছু আছে যা আপনি লুকিয়ে রাখতে চান? এমন বিষয় যার জন্য আপনি লজ্জিত? এমন কিছু বিষয় যার জন্য আপনি গর্বিত নয়? আপনি আজ, গত সপ্তাহে বা গত বছরে এমন কিছু করেছেন কি যার জন্য আপনি লজ্জিত? আপনি কি বুঝতে পেরেছেন যে, ঐ সকল বিষয়গুলো ঠিক ছিল না?

সম্ভবত আপনার জীবনে এমন কিছু বিষয় আছে যা নিয়ে আপনি লজ্জিত ছিলেন, কিন্তু এর মধ্যেই সেগুলি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। অন্যদের সম্পর্কে সমালোচনা কি? এইভাবে কি আপনি লোকদের আঘাত করেছেন? আপনি কি লোভ করেছিলেন? আপনি কি টাকা নিয়ে চালাকি করার কারণে অন্যদের বা সরকারকে অসুবিধায় ফেলেছিলেন? আপনি কি ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি দেখেন বা সম্পর্কের বিষয়ে অবিশ্বস্ত? আপনি কি মদ্যপানে আসক্ত? আপনি কি আপনার খ্যাতি বজায় রাখার জন্য যে কোন কিছু করতে পারেন? আপনি কি অন্যদের যা আছে এবং আপনার যা যা নেই তার জন্য অন্যদের প্রতি ভয়ানকভাবে ঈর্ষান্বিত? নাকি আরো কিছু আছে যা আপনি আপনার চারপাশের লোকদের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছেন?

আপনি কি আপনার সৃষ্টিকর্তাকে যথাযথ সম্মান ও কৃতজ্ঞতা দেখাতে সক্ষম? আপনি কি আপনার জীবনে তাঁর উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে ইচ্ছুক? আপনার প্রতিদিনের কর্ম কি সৃষ্টিকর্তাকে গৌরব দান করে? নাকি আপনি এমন কিছু করছেন বা করেছেন যার বিচার ধার্মিক বিচারকের করতে হবে? কিতাবুল মোকাদ্দস বলে:

বুঝতে পারে, এমন কেউই নেই, আল্লাহ্‌র খোঁজ করে, এমন কেউই নেই। সকলেই বিপথে গেছে, তারা একসঙ্গে অকর্মণ্য হয়েছে; দয়া দেখায় এমন কেউই নেই, এক জনও নেই। 1

আমরা কি আমাদের নিজেদের ভুল সংশোধন করতে পারি?

এমন কেউ নেই যে সব সময় সঠিক কাজ করে। আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোন ভুল করেছি। আপনি কি মনে করেন যে আমরা যথেষ্ট ভাল কাজ করার মাধ্যমে খারাপ কাজগুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে পারি। ভাল কাজ করে কি সব ভুল ঠিক করা যায়? অনেক ভুল আছে যা ক্ষতির কারণ হয় এবং তা ঠিক করা যায় না।

ধরুন কেউ একজন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর কাজ করেছেন। তিনি শিশুদের বাড়ি এবং স্কুল তৈরিতে সাহায্য করেছেন। এই ব্যক্তির কারণে অনেক শিশু ভাল শিক্ষা এবং উন্নত জীবন পেয়েছে। আর, এই ব্যক্তিই যদি একজন শিশুকে নির্যাতন করে থাকেন, যে সমস্ত ভাল কাজ তিনি করেছিলেন তার বিনিময়ে কি খারাপ কাজ বাতিল করা হবে? এভাবে কি নির্যাতিত শিশু ন্যায় বিচার পাবে?

আমি আশা করি যেন আপনার এই ধরনের পরিস্থিতি কখনো মোকাবেলা করতে না হয়। সৌভাগ্যবশত, অধিকাংশ মানুষ শিশু নির্যাতনকারী, খুনি বা বড় অপরাধী নয়। এখন নিজের জীবনের দিকে তাকান। ঈর্ষান্বিত অবস্থায় আপনি কি করে থাকেন? আপনি কি সমালোচনা করে মানুষকে আঘাত করেন? আপনি আপনার সঙ্গী, আপনার পরিবারের প্রতি কেমন আচরণ করেন? আপনি কি সবসময় অর্থের বিষয়ে সৎ থাকেন? অথবা আপনি মনে করেন যে আপনি অন্যদের চেয়ে ভাল।

দুর্ভাগ্যবশত, আমি এমন কাউকে চিনি না যিনি নিখুঁত জীবনযাপন করেন। আপনি চিনেন কি?

আমাদের সিন্ধান্ত নেবার স্বাধীনতার ফলাফল বিপর্যয়কর মনে হয়!

মূলত আমরা আমাদের ইচ্ছামত জীবনযাপন করি। হতে পারে আমরা নিজেদের কিংবা পরিবারকে প্রথমে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। আমরা অহংকারী এবং একগুঁয়ে। এই কারণেই স্রষ্টা যা চান তা আমরা উপেক্ষা করি। আমরা যা চাই তা করে আমরা তাঁকে নিরাশ করি। আল্লাহ্ এবং আমাদের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিবার খারাপ হয়।

যদি একজন সঙ্গী অবিশ্বস্ত হয়, সম্পর্ক সব সময়ের জন্য ভেঙ্গে যাবে। এটাই পরিনতি কারণ অন্য অংশীদার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এমনকি যদি আপনি শুধুমাত্র একবার অবিশ্বস্ত হন, আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য বিশ্বস্ত হয়েও এটি ঠিক করতে পারবেন না। আস্থা ভেঙ্গে গিয়েছে। সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে হলে প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি কি ভুল করেছেন। আপনাকে বুঝতে হবে, আপনি অন্য ব্যক্তিকে কতটা আঘাত করেছেন। শুধুমাত্র যদি সত্যিকারের অনুতাপ হয় এবং অন্য ব্যক্তি আপনাকে ক্ষমা করতে ইচ্ছুক হয়, তবে সম্পর্কটি পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে।

আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তাই ঘটে। আমরা প্রধানত ব্যক্তিগত, পরিবার এবং ব্যস্ত রাখার মত অন্যান্য বিষয় নিয়ে চিন্তা করি। আমরা অহংকারী এবং আত্মকেন্দ্রিক। আমরা আল্লাহকে উপেক্ষা এবং হতাশ করি। প্রতিবারই আমরা তাঁর সাথে আমাদের সম্পর্কের ক্ষতি করে থাকি। প্রতিবারই, সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পরে। বিশেষ করে যখন আপনি বুঝতে পারেন যে আল্লাহ্ ন্যায্য এবং একটি ভুলও উপেক্ষা করতে পারেন না।

কিন্তু তোমার কঠিন ভাব এবং অপরিবর্তনশীল অন্তর অনুসারে তুমি তোমার নিজের জন্য সেই গজবের দিনের জন্য এমন শাস্তি সঞ্চয় করছো, যখন আল্লাহ্‌র ন্যায়বিচার প্রকাশ পাবে। 2

blank

আমাদের জন্য কি কোন আশা আছে?

আমাদের সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা ভাল এবং মন্দের মধ্যে একটি বেছে নিতে দেয়। প্রতিদিন আমরা মিথ্যা, প্রতারণা, সমালোচনা, তর্ক, হিংসাকে বেছে নিই এবং ক্ষমতা, অর্থ ও অবৈধ যৌন আকাঙ্ক্ষা দ্বারা শাসিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমরা অহংকারী ও অদূরদর্শী এবং প্রধানত যে বিষয়গুলো আমাদের এখন ভাল লাগছে তা নিয়ে চিন্তা করি। আমরা হয়তো কিছু অভ্যাসের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। হয়তো আমাদের যে জিনিস আছে বা আমরা চাই এমন জিনিসের প্রতি আমরা আসক্ত। আমরা প্রায়ই নিজেদের নিয়ে চিন্তা করি এবং সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিন্তা করতে ভুলে যাই।

আল্লাহ্ সত্য ও ন্যায়ের উৎস। অতএব, তিনি আপনার ভুল উপেক্ষা করতে পারেন না। এমনকি আপনি যদি সত্যিই তওবা করে থাকেন এবং আরও ভাল করার প্রতিশ্রুতি দেন তারপরও তিনি আপনার ভুল উপেক্ষা করতে পারেন না। যদি তিনি আপনাকে ক্ষমা করেন তবে তিনি আর ন্যায়পরায়ণ এবং নির্ভরযোগ্য থাকবেন না।

আমরা আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলে তাঁর মর্যাদার অপমান হয়। আর যদি আপনি সৎ হন তবে স্বীকার করতে হবে যে আপনি প্রতিদিন প্রায়ই তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যান। উদাহরণের মাধ্যমে আমি আগেই উল্লেখ করেছি: আমরা তাকে বারবার মুখে ঘুষি মারি।

আমরা কি আশাহতভাবে হারিয়েছি?

.

একই আল্লাহ্, বিভিন্ন নাম?
কিতাবুল মোকাদ্দস কি এখনও নির্ভরযোগ্য?
ঈসার জীবন
ঈসা কি একজন নবীর চেয়ে বেশি ছিলেন?
আল্লাহর কি পুত্র থাকতে পারে?
ঈসা কি সত্যিই ক্রুশে মারা গিয়েছিলেন?
আল্লাহ্ কি মরতে পারেন?
অন্য কেউ কি ক্রুশে মারা গিয়েছিল?
একজন আল্লাহ্ কি তিনজন মানুষ হতে পারে?
সারসংক্ষেপ

  1. রোমীয় 3:11-12 BACIB
  2. রোমীয় 2:5 BACIB